সিরাজদিখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর, আহত ৪

 সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর, আহত ৪। উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়া ও একই গ্রামের শহিদুল শেখগংদের সাথে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের কমপক্ষে ৪জন আহত হয়। আহতরা হলেন জনি (২৬), বাছের (৪০), সুজন (৩০) ও মামুন (৩৫)। ঘটনা ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামে। এলাকাবাসী অনেকে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ নন্দনকোনা গ্রামের শহিদুল শেখ এবং ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বাচ্চু মিয়ার শ্যালক জনিসহ ৪/৫ জন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে নন্দনকোনা চৌরাস্তায় এলে শহিদুলের লোকজন হামলা চালায়। এ সময় জনির (২৬) মাথা ফেটে যায়। স্বজনরা জনিকে শ্রীনগরের ষোলঘর হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যার পর ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ টেটা জুতিয়া নিয়ে দুই পক্ষের মহড়া চলে। খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া গত সপ্তাহে বাচ্চু মিয়ার মোটর সাইকেল শহিদুলের লোকজন ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয় বলে এলাকাবাসি জানায়। শহিদুল শেখ জানান, বাচ্চু মেম্বারের ভাতিজাসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং আমার ব্যবসার ৩ লাখ টাকা ঘরে ছিল তা নিয়ে যায়। আমাদের বাড়ীর মহিলাদেরকে মারধর করে তারা। কোলা ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আমি ঢাকায় ছিলাম, থানা থেকে পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে মারামারির এ ঘটনা জানায়। আমার শ্যালকের মাথায় শহিদুলের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম হয়। সে বর্তমানে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার সময় আমাদের লোকজন আহত ৩ জনকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। শহিদুলরা ভাবছে জনির মাথা দুই ভাগ হয়েছে। ভয় পেয়ে তারা নিজেরাই নিজেদেও বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। জনির চাচাত ভাই হারুন বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছেন। সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) আবুল কালাম জানান, প্রথমে শহিদুলের লোকজন বাচ্চু মিয়ার শ্যালককে মারধর করে। এরপর বাচ্চু মিয়ার লোকজন শহিদুলের বাড়িতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment